স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করছি। ডিসি, এসপিরা নির্দেশ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। আমি চাই আগামী সাতদিনের মধ্যে লকডাউন জারি হোক। করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনকে আমাদের রুখতেই হবে। সে কারণে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহণে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যদি কেউ বাস, ট্রেন ও লঞ্চে মাস্ক ছাড়া চলাচল করেন, তাহলে জরিমানা করা হবে।” করোনা মোকাবিলায় আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ চালানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে কমছে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার সময়ও। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আগামী সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে ওমিক্রন মোকাবিলায় সোমবার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা গত সপ্তাহ থেকে লক্ষ্য করছি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তা সত্যিই আশঙ্কাজনক। তাই মঙ্গলবার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সঙ্গে আমরা বৈঠক করছি। সেই বৈঠকে আমি ছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি, ডিআইজিরাও ছিলেন। তাঁদের কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত নয়। রাত ১০টার পরিবর্তে ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
0 Comments