সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে চাচা-ভাতিজির লড়াই - জাগ্রত বিক্রমপুর ২৪


 

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে চাচা-ভাতিজির লড়াই। বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ও আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি। দুই প্রার্থীই এখন নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের মন জয় করে ১৬ তারিখের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হতে।


তৈমূর আলম সম্পর্কে সদ্য বিদায়ী মেয়র আইভী বলেন, সম্পর্কে তিনি আমার চাচা হন। আমার বাবার সঙ্গে উনার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উনি হয়তো আমাকে ছোট বেলা থেকেই দেখেছেন, উনার চোখের সামনেই বেড়ে উঠেছি। আমি চা-ভাতিজির সম্পর্কটাই বজায় রাখতে চাই। জোট সরকারের আমলে আমি যখন পৌরসভার চেয়ারম্যান হলাম তখন উনি বিআরটিসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার কোনো কাজ যদি মন্ত্রণালয়ে দেরি হতো বিভিন্ন সময় আমি উনার শরণাপন্ন হয়েছি। উনি আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ যে উনি বিএনপির একটি উচ্চ পদে থেকেও যখনই অনুরোধ করেছি উনি সাড়া দিয়েছেন। এখনো আমার সঙ্গে তার সুসম্পর্ক আছে। আমার মা যখন মারা গিয়েছেন উনি বাসায় এসেছেন। আমি সেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেই নির্বাচন করতে চাই। হার-জিত যাই হোক না কেন ফলাফল মেনে নেবো। আমি আমার চাচার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই।


তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি শ্রমিক সংগঠন করতাম। আইভির বাবা ছিলেন আমার গুরু। আমি তার বাবাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। আমি তার কাছে অনেক কিছু শিখেছি। বাবুল মাস্টার নামে একজন ছিলেন যিনি চুনকা ভাইয়ের খুব কাছের লোক ছিলেন। আমি তার গাড়িতে প্রায়ই চড়তাম। তো একদিন বাবুল মাস্টার চুনকা ভাইয়ের গাড়িতে উঠছিলেন। তখন চুনকা ভাই বললেন, এই তুই আমার গাড়িতে উঠবি না, তুই এখন পৌরসভার ঠিকাদার। পৌরসভার ঠিকাদার চেয়ারম্যানের গাড়িতে উঠতে পারে না। আমি এটা মনে রেখেছি। যখন বিআরটিসির চেয়ারম্যান ছিলাম আমি আমার কক্ষে ঠিকাদারদের প্রবেশ করতে দেইনি।

Post a Comment

0 Comments