সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

মেরামতের জন্য ১ মাস বন্ধ থাকার পরে শনিবার খুলে দেয়া হবে কুণ্ডেরবাজার সেতু - জাগ্রত বিক্রমপুর ২৪

 


সাদিয়া আলম, মুন্সীগঞ্জ:

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় সড়ক যোগাযোগের একমাত্র ভরসা কুন্ডের বাজার  বেইলি সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক যান চলাচল করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে চারটি বাস ও তিনটি রোলার যন্ত্র দিয়ে সেতু একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াত করা হয়। মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ বলছে,সফলভাবে তারা পরীক্ষামূলক যান চলাচল করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবার (১৭জুন) থেকে সেতুটি যানবাহন ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩১ বছর আগে জেলার সিরাজদিখান ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তালতলা-ডহুরী খালের ওপর কুন্ডের বাজার বেইলী সেতু নির্মিত হয়। ৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতু চালুর মধ্য দিয়ে সদর উপজেলা ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সঙ্গে সিরাজদীখান ও শ্রীনগর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করে। কয়েক বছর আগে সেতুটি ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা করে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে এ সড়কে দীর্ঘ ২ বছর ধরে শুধুমাত্র অটোরিকশা, মিশুক ও প্রাইভেটকার চলাচল করে আসছিলো।

এদিকে, কোনো বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা না করেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজ শুরু হয় গত ১৬ মে,আর শেষ হবে আগামী ১৬ জুন। এতে এক মাস যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। জেলা সদরের সঙ্গে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে তালতলা-ডহুরী খাল পারাপারে দু’টি ট্রলার চালু করা হয়।

মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান জানান, মুন্সিগঞ্জ-শ্রীনগর সড়কে কুন্ডের বাজার বেইলি সেতুটি আমাদের অন্যতম প্রধান একটি বেইলি সেতু। ১৯৯২ সালে সেতুটি নির্মান করা হয়। কয়েকটি এক্সিডেণ্টের কারণে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। গত একমাস আমরা এই সেতুটি দিয়ে সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ রেখে মেরামতের কাজ করেছি। আগামী ১৬ জুন একমাস পূর্নহবে। মেরামতের কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে তিনি আরো বলেন,আজকে (বুধবার) সেতুটিতে বাস এবং রোলার দিয়ে ট্রায়েল দিয়ে দেখছি। সেতুটি লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি ঠিক আছে কিনা। যানবাহন চলাচলের আগে এই ট্রায়েল দেয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল। ট্রায়েল দিয়ে আমরা দেখতে পারলাম আমরা যেই উদ্দেশে রিপার করেছিলাম সেটা হয়েছে।

ফাহিম রহমান বলেন, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি মহাদয়ের সহযোগিতার কারণেই আমরা সময় মতো কাজটি করতে পেরেছি। আজকে ট্রায়েল দিয়ে যেহেতু পজিটিভ রেজাল্ট পেয়েছি, সেহেতু কিছু ছোটখাট কাজ আছে, সেই কাজ শেষে আগামী ১৭মে থেকে সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হবে। তিনি বলেন, এই সেতুর পাশে আরেকটা নতুন ১৫০ মিটারের কনকিটের সেতু নির্মান করার প্রস্তাব পাশ হয়ে গেছে। ডিজাইন শেষ পর্যায়ে। আশাকরা যাচ্ছে খুব দ্রুত দরপত্র আহবায়নের মাধ্যমে এই বছরই নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে। সেতুটি নির্মান করা হবে এই বেইলি সেতুর পূর্ব পাঁশে। নতুন সেতু নির্মান হলে এই অঞ্চলের জনগণের আর চলাচলে দুর্ভোগ থাকবে না।

 

Post a Comment

0 Comments