সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

মুন্সীগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ২ দিনের রিমান্ডে - জাগ্রত বিক্রমপুর ২৪

 



নিজস্ব প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জে একটি হাসপাতালে এক কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার পর শেখ শাকিল (২২ নামে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা-পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৩টায় গজারিয়া থানার ভবেরচরের হোগলা কান্দি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আজ রোববার দুপুরে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।


অভিযুক্ত শাকিল মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মো. হাবিবুরের ছেলে। তারা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি আবাসিক ভবনের ভাড়াটিয়া।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জেলার একটি হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। সেই সুবাদে প্রায়ই মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া-আসা এবং মাঝেমধ্যে হাসপাতালে থাকত সে।


গত মঙ্গলবার রাতে মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে ছিল ওই কিশোরী। একই সময় ৪-৫ জন সহযোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যান স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা শাকিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে লোকজন কমে আসলে ওই কিশোরীকে ডেকে প্রেমের প্রস্তাব দেন শাকিল। এতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে টেনে হাসপাতালে ছাঁদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান তিনি। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন ওই কিশোরী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও আপসের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত শাকিল। পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।


এদিকে শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতালের ভেতরে কীভাবে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলো তা জানতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় শেখ শাকিলকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।


পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এর পূর্বে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হলেও শাকিল পালিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের একাধিক টিম তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল হক স্থানীয় সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। আজ (রোববার) দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

Post a Comment

0 Comments